আর মাত্র ৯০ মিনিট। এই সময়টা পার করলেই দ্বিতীয়বারের মতো তিন মৌসুমে সিরি আ শিরোপা উঠতে পারে নাপোলির ঘরে। এক পয়েন্টে এগিয়ে থাকা আন্তোনিও কন্তের দল এখন শুধু অপেক্ষায়—ইন্টার মিলান কী করে!
শেষ রাউন্ডে নিজেদের মাঠ স্টাডিও দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনায় ক্যাগলিয়ারির বিপক্ষে খেলবে নাপোলি, যাদের মৌসুমে আর কিছুই পাওয়ার নেই। একই সময়ে ইন্টারকে খেলতে হবে অ্যাওয়ে ম্যাচ, বিপক্ষে ফর্মে থাকা কোমো—যারা টানা ৮ ম্যাচ অপরাজিত এবং চার দশকে সেরা লিগ পজিশনের খোঁজে।
সমীকরণ সহজ: ইন্টার যা-ই করুক, নাপোলি যদি সেটা ধরে রাখতে পারে বা ভালো ফল করে—তবে স্কুদেত্তো নিশ্চিত। নেপলস আবারো উৎসবে মাতবে।
তবে মাঠের বাইরের নাটকও কম নয়। ইতালীয় গণমাধ্যমে গুঞ্জন—এই মৌসুম শেষেই কন্তে আবার ফিরে যাচ্ছেন জুভেন্টাসে, যেখানে তিনি আগে তিনবার লিগ জিতেছেন। নিজেই স্বীকার করেছেন, “এই মৌসুমে আমি খুব ক্লান্ত। শিরোপা পেলে সেটা হবে আমার কষ্টের প্রাপ্য পুরস্কার।”
এই উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই শেষ রাউন্ডে টাচলাইনে থাকবেন না দুই কোচই। আগের রাউন্ডে লাল কার্ড দেখে নিষিদ্ধ হয়েছেন কন্তে ও ইন্টারের সিমোনে ইনজাগি। ইনজাগি ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন লাজিওর শেষ মুহূর্তের পেনাল্টির সিদ্ধান্তে, যা ম্যাচটিকে ২-২ গোলে ড্র করায়। ম্যাচ শেষে ইন্টার খেলোয়াড়রা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি না হয়ে প্রতিবাদ জানান।
অন্যদিকে, পারমার মাঠে কন্তের সহকারী ও সাবেক সহকর্মী গালিয়ার্দির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও প্রমাণ করছে, চাপ কতটা বেশি।
তবে কৌতূহলের বিষয়—নাপোলির জন্য বড় সুবিধা এনে দিয়েছে ইন্টারের সাবেক খেলোয়াড় পেদ্রো! লাজিওর হয়ে তার ৯০ মিনিটে গোলই নাপোলিকে ফের শীর্ষে রেখেছে।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে, একটি আশ্চর্য সমীকরণও থেকে যাচ্ছে—যদি নাপোলি হেরে যায় আর ইন্টার ড্র করে, তাহলে পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে এবং সোমবার আয়োজন করা হতে পারে শিরোপা নির্ধারণী প্লে-অফ! যদিও বাস্তবে তার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এদিকে, জুভেন্টাসের সামনে সুযোগ রয়েছে এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়নস লিগ নিশ্চিত করার—রোববার ভেনেজিয়ার বিপক্ষে জয় পেলেই হয়ে যাবে।
শেষ কথা? শুক্রবার রাত সিরি আ’র ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় লিখে দিতে পারে। নাপোলির জন্য এটি হতে পারে উৎসবের রাত। আর কন্তের জন্য? হয়তো শেষ বিদায়, নয়তো আরেকটি সাহসী বার্তা—তিনি এখনো আছেন, এবং শিরোপার জন্যই আছেন।