আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ ওঠা মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া তাহমিদ যাফরিন (২৬) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম সারাহ ফারজানা হকের আদালতে হাজির করা হলে তিনি জবানবন্দি দেন।
বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ। এরপর তিনি স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সারাহ ফারজানা হক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ৬ আগস্ট সুমাইয়া তাহমিদকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন ৭ আগস্ট এ মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা সংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ‘গোপন বৈঠকের’আয়োজন করে। দিনভর বৈঠকে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীসহ অংশ নেন ৩০০ থেকে ৪০০ জন। সেখানে তারা ‘সরকারবিরোধী স্লোগান’দেন।
সেখানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পেলে সারাদেশ থেকে ঢাকায় লোক জড়ো করা, শাহবাগ মোড় দখল করে ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি’ সৃষ্টি করা, মানুষের মধ্যে ‘আতঙ্ক সৃষ্টি করে’ শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিশ্চিত করার মতো পরিকল্পনা করা হয়।
এ ঘটনায় ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক জ্যোতির্ময় মণ্ডল গত ১৩ জুলাই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন।