ক্রিকেটারদের ফিটনেস যাচাই করতে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই মাধ্যম হচ্ছে বিপ টেস্ট আর ইয়ো-ইয়ো টেস্ট। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরও এই দুই প্রসেসের মধ্য দিয়েই যেতে হয়। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কিয়েলির পছন্দ টাইম ট্রায়াল। এশিয়া কাপের প্রাথমিক দলে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে হওয়া ১৬০০ মিটারের দৌড়ে প্রথম হয়েছেন নাহিদ রানা, সে তো ঘড়ি ধরেই। ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ড লেগেছে তার।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ফিটনেস ক্যাম্পের সেশনেও ক্রিকেটারদের শারীরিক অবস্থা কিয়েলি যাচাই করেছেন ঘড়ি ধরেই। অর্থাৎ টাইম ট্রায়ালে। যেখানে নির্দিষ্ট বিরতির পর পূর্ব নির্ধারিত দুরত্ব অতিক্রম করতে হয় ক্রিকেটারদের। কে কত ভালো করছেন, সেটা নির্ধারিত হয় কিয়েলির হাতে থাকা স্টপওয়াচের কাউন্টে।
কেন টাইম ট্রায়ালে কিয়েলির ভরসা? সোজসাপ্টা জবাবে এই অস্ট্রেলিয়ান ট্রেনার বললেন, ‘ঘড়ি কখনো মিথ্যা বলে না।’
এই টাইম ট্রায়াল আর বাকি দুই টেস্টের মধ্য তুলনা করতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে খেলোয়াড়রা ইয়ো-ইয়ো আর বিপ টেস্ট পার করে, তারা টাইম ট্রায়ালও উৎরে যায়। আবার যারা এই দুই টেস্টে পাশ করে না, তারা টাইম ট্রায়ালেও আটকে যায়। টেস্ট যেটাই হোক না কেন, ফলাফল দেখেই বুঝা যায় কোন ক্রিকেটারদের কী অবস্থা, কার আরেকটু বেশি কাজ করা দরকার।’
এশিয়া কাপকে সামনে রেখে ফিটনেস আর কন্ডিশনের প্রস্তুতি বেশ ভালোভাবেই হয়েছে বলে জানিয়েছেন কিয়েলি। এই ট্রেনার বলেন, ‘নিঃসন্দেহে ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। আজকের এই সেশনটাই এর প্রমাণ। যদি মনে করেন, আজকের সেশন যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল না, তাহলে বলব একদিন এসে দৌড়ে দেখুন আমাদের সাথে। তখন বুঝতে পারবেন।’
মঙ্গলবারে ফিটনেস সেশনে পারভেজ হোসেন ইমন, মেহেদী হাসান মিরাজরা বেশ সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছেন। শেষ রাউন্ডে পাঁচ মিনিটে পাঁচ বার দৌড়ে আসা যাওয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল নির্দিষ্ট দুরত্বে। সেখানে সাড়ে পাঁচ মিনিটে দৌড়ে সম্পন্ন করেছেন মিরাজ। তাসকিন আহমেদের অবস্থা এখানেও শোচনীয়ই ছিল। পাঁচ মিনিটের পাঁচ ল্যাপ এই পেসার সম্পন্ন করেছেন আট মিনিটে।