কক্সবাজার সফর নিয়ে লুকোচুরি কেন, প্রশ্ন রিজভীর

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
উত্তরার দিয়াবাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রুহুল কবীর রিজভী। ছবি : বিএনপির ফেসবুক পেজ
Highlights
  • ‘আপনারা যেকোনো কাজেই যেতে পারেন, যে কারোর সঙ্গেই সাক্ষাৎ করতে পারেন, ওটা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিন। সেটা আপনারা মিডিয়াকে বলুন, তাহলে তো আর কোনো প্রশ্ন আসে না।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কয়েকজন নেতার কক্সবাজার সফরকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এই সফর নিয়ে কেন দলটির নেতারা লুকোচুরি করছেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

এনসিপির নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যেতেই পারেন, অসুবিধার কিছু নেই। সেখানে যদি কোনো কূটনীতিকের সঙ্গে আপনাদের আলাপ-আলোচনা হয়, হওয়ার যদি প্রোগ্রাম থাকে, সেটা হতেই পারে। কিন্তু মানুষের সংশয় হচ্ছে, সন্দেহ হচ্ছে, এই লুকোচুরি কেন?’

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ির শুক্রভাঙ্গায় মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে নিহত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অফিস সহকারী মাসুমা বেগমের বাসায় যাওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সেখানে যান রুহুল কবির রিজভী।

কক্সবাজারে এনসিপি নেতাদের হোটেল পরিবর্তন মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে এই হোটেলে আছি, তার পরের দিন কিছু সংবাদপত্রে কিছু কথা উঠল, তার পরের দিন আবার হোটেল পরিবর্তন করা, আবার আরেক জায়গায়, এটা মানুষ সন্দেহ করে। এটা করবেন কেন?’

এনসিপির নেতারাই জনগণের মনে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ করে দিচ্ছেন মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কেন আপনাদের নিয়ে বিভিন্ন কথা উঠছে? আপনারা যেকোনো কাজেই যেতে পারেন, যে কারোর সঙ্গেই সাক্ষাৎ করতে পারেন, ওটা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিন। সেটা আপনারা মিডিয়াকে বলুন, তাহলে তো আর কোনো প্রশ্ন আসে না।’

এসময় আগামী নির্বাচনের সময় নিয়ে কথা বলেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তিনি জনগণের দাবি, মানুষের দাবি, মানুষের আকাঙ্ক্ষা, সেই আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে রমজানের পূর্বেই নির্বাচন ঘোষণা করেছেন। আমি মনে করি, শুধু রাজনৈতিক দল নয়, জন–আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এই ঘোষণাটা দিয়েছেন।’

‘আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ সরকার, গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য একটি প্রস্তুতিমূলক সরকার, বিপ্লবী সরকার এবং এই সরকার সমস্ত জন–আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করবেন, এটাই মূল কথা।’

অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

পরে নিহত মাসুমা বেগমের স্বামী মোহাম্মদ সেলিমের হাতে এককালীন আর্থিক সহায়তা তুলে দেন রিজভী। একই সঙ্গে মাসুমার ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আবদুল্লাহর পড়ালেখার দায়িত্ব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিচ্ছেন বলেও জানানো হয়।

এ সময় আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান, উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন ও আবুল কাশেম, সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন, সদস্য মাসুদ রানা, মুস্তাকিম বিল্লাহ, শাকিল আহমেদ, ফরহাদ আলী সজীবসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *