জিডি করতে গিয়ে ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’র তিন কর্মী গ্রেপ্তার

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
Highlights
  • শনিবার সকালে হঠাৎ করেই ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে।

‘গ্রাহকের টাকা মেরে পালিয়ে যাওয়ার’ অভিযোগে মামলায় গ্রেপ্তার হলেন জনপ্রিয় ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের তিন কর্মী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-কোম্পানির হেড অব ফাইনান্স সাকিব হোসেন (৩২), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ (৪০) ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)।

মতিঝিল থানার বরাতে জানা যায়, শনিবার রাতে অনলাইনে উড়োজাহাজের টিকেট বুকিংয়ের প্ল্যাটফর্মটির মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সে রাতেই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান বিন রশিদের বিরুদ্ধে জিডি করতে থানায় যান সাঈদ আহমেদ। তার সঙ্গে ছিলেন বাকি দুই সহকর্মী। থানাতেই গ্রেপ্তার হন তারা।

অবশ্য এখনো ফ্লাইট এক্সপার্টের এমডি সালমান বিন রশিদের কোনো খোঁজ মেলেনি। তিনি নিজেকে বাঁচাতে কানাডায় পালিয়ে যেতে পারেন বলে ধারণা করছেন ফ্লাইট এক্সপার্টের কর্মীরা। জিডিতে সাঈদ অভিযোগ করেন, সালমান শনিবার কাউকে কিছু না জানিয়ে পরিবারসহ বিদেশে ‘পালিয়ে’ যান। তিনি কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কোম্পানি বন্ধের কথাও জানান।

এর আগে শনিবার সকালে হঠাৎ করেই ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ওঠে, গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করে দেশ ছেড়েছেন এমডি সালমান।

এর পরপরই কোম্পানির গ্রাহক, টিকিট বিক্রেতা, এজেন্সি মালিকসহ যারা অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের জন্য অর্থ পরিশোধ করেছিলেন, মতিঝিলে ফ্লাইট এক্সপার্টের কার্যালয়ে ভিড় করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টেও অভিযোগ করতে শুরু করেন অনলাইন গ্রাহক ও সংশ্লিষ্টরা। অনেকের অভিযোগ, তারা পুরো টাকা পরিশোধ করলেও টিকিট হাতে পাননি। আবার অনেকে দাবি করেন, কোনো রকম অর্থ ফেরত না দিয়েই তাদের বুকিং ক্যানসেল করা হয়েছে।

পরে শনিবার রাতেই ফ্লাইট এক্সপার্টের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন সরকার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক বিপুল সরকার। সেখানে কোম্পানির মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

মামলায় গ্রেপ্তার ওই তিনজনসহ আসামি করা হয় এমডি সালমান বিন রাশিদ এবং তার বাবা এম এ রাশিদকে।

ফ্লাইট এক্সপার্ট মূলত মক্কা গ্রুপের একটি কোম্পানি। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে টিকিটিং, হোটেল প্যাকেজ, ট্যুর প্যাকেজ, হজ ও ওমরার বিভিন্ন প্যাকেজ পরিচালনা করে আসছিলেন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *