আদালত অবমাননার দায়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৬ মাস ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলকে ২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেয়। রায়ে বলা হয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্তদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে তাদের কারাদণ্ড কার্যকর হবে।
বিচার চলাকালে প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেন প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন শেখ হাসিনা ও বুলবুলের পক্ষে শুনানি করেন। এ ছাড়া অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) হিসেবে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান।
আদালত অবমাননার এই মামলার সূত্রপাত ঘটে শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের অডিও ভাইরাল হওয়ার পর। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে অডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করে।
এই বক্তব্যের ভিত্তিতে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে ১৫ মে’র মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ পাঠায়। নির্ধারিত তারিখে জবাব না দেওয়ায় ২৫ মে তাদের সশরীরে হাজির হতে বলা হয়। ওই তারিখেও তারা অনুপস্থিত থাকায়, ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে যুগান্তর ও নিউএজ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
২৬ মে প্রকাশিত ওই নোটিশে বলা হয়, ৩ জুন সকাল ১০টায় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের জবাব দিতে হবে। তা না হলে অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নির্ধারিত সময়েও তারা হাজির না হওয়ায় আজ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করে।