অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী দায়িত্ব শেষে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন না। বরং তিনি সাংবাদিকতা ও লেখালেখিতে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাজনৈতিক নেতা বা সংসদ সদস্য হওয়ার ইচ্ছে নেই তার।
বুধবার ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের পরবর্তী ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু জল্পনা চলছে। আমার কিছু বন্ধু ভেবে বসেছেন, আমি কোনো শীর্ষ রাজনৈতিক দলে বা নতুন কোনো দলে যোগ দিচ্ছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, রাজনৈতিক জীবনযাত্রার প্রতি আমার কোনো আগ্রহ নেই। কোনো রাজনৈতিক দল বা সংসদ সদস্য কিংবা বড় মাপের রাজনৈতিক নেতা হয়ে যে ধরনের জীবনযাপন করতে হয়, তার প্রতি একেবারেই কোনো মোহ বা টান অনুভব করি না।’
রাজনীতির আর্থিক দিক নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুর বা ইউরোপের মতো দেশে রাজনীতিতে কিছু আর্থিক নিশ্চয়তা থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে তা নেই- যতক্ষণ না আপনি দুর্নীতিতে যুক্ত হন।’
তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব শেষে তিনি সাংবাদিকতা ও লেখালেখিতে ফিরতে চান।
তিনি আরও লেখেন- ‘আমার কিছু লেখার পরিকল্পনা রয়েছে। এমনকি আমি আমার বাকি জীবন পুরোপুরি ‘‘জুলাই বিদ্রোহ’’ নিয়ে লেখার জন্য ব্যয় করতে পারি।’
জুলাই আন্দোলনকে ‘স্বতঃস্ফূর্ত, সাহসী, সুন্দর ও বিস্তৃত রাজনৈতিক সংগ্রাম’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘রবার্ট ক্যারো যেভাবে লিন্ডন জনসনের ওপর পুরো জীবন ধরে লিখেছেন, তেমনি একজন লেখক সারাজীবন জুলাই বিপ্লব নিয়েও লিখে যেতে পারেন। যদিও অনেকে ‘‘বিপ্লব’’ শব্দটি অপছন্দ করেন।’
পোস্টে নিজের নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন শফিকুল আলম।
তিনি আরও জানান, ‘আমি কী জীবনের শেষ পর্বে এই রূপান্তরের পর নিরাপদ থাকব? গত কয়েক মাসে আওয়ামী লীগের কিছু কর্মীর কাছ থেকে ভয়ংকর হুমকি পেয়েছি। তবে এগুলো হয়তো তাদের হতাশার প্রকাশ, যারা শেষ ভালোবাসাটুকুও হারিয়ে ফেলেছে।’
পোস্টের শেষ অংশে শফিকুল আলম লেখেন, ‘আমি সৃষ্টিকর্তার উপর পূর্ণ আস্থা রাখি। তিনিই আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন। আমি অপেক্ষায় থাকব আমার নতুন জীবনের।’