কোরবানি ঈদের আগে ক্রেতারা স্বস্তির কেনাকাটা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর কোরবানির এক থেকে দুই সপ্তাহ আগে কারসাজি করে প্রায় সব ধরনের মসলার দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবার তা হয়নি, স্বস্তিতেই কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা।’
গত বছরের বাজারদরের সঙ্গে তুলনা করে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি। সেখানে চলতি বছর ও গতবছরের ঈদের তুলনামূলক দামের চিত্র তুলে ধরা হয়।
পরিসংখ্যান বলছে, গতবছর যেখানে এককেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিলো ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সেখানে এবারের ঈদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ছিলো ৮০ থেকে ৯০ টাকা। চলতি বছর তা ৫০ থেকে ৬০ টাকা প্রতিকেজি।
একইভাবে রসুনের দাম তুলে ধরেন অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা। সেখানে তিনি গতবছরের বাজারদর তুলে ধরে জানান, দেশি রসুন ১৯০ থেকে ২০০ এবং আমদানি রসুন ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিলো। সেখানে চলতি বছর ১১০ থেকে ১২০ এবং আমদানি রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আদা, শুকনা মরিচ, ধনিয়া, হলুদের তুলনামূলক দামের চিত্রও এ সময় তুলে ধরেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি জানান, গতবছর আদা ২২০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও চলতি বছর ঈদে তা ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুকনা মরিচের দাম ছিলো ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা প্রতি কেজি; সেটা এখন ২১৫ থেকে ২৫০ টাকা। ধনিয়া ছিলো ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা প্রতি কেজি; সেটা এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। হলুদের দাম গতবছর বিক্রি হয়েছিলো ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়; এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়।