হাঁসের মাংস খেতে নীলা মার্কেটে যান উপদেষ্টা, বন্ধ থাকলে ওয়েস্টিনে

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: বাসস

কাজ শেষ হতে অনেক রাত হয়ে গেলে মাঝে মাঝে ৩০০ ফিট এলাকার নীলা মার্কেটে হাঁসের মাংস খেতে যান বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আর ভোর হয়ে গেলে যদি নীলা মার্কেট বন্ধ হয়ে যায় তাহলে খাওয়ার জন্য গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে চলে যান বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন উপদেষ্টা। আর তখনই আসে নীলা মার্কেট বা ওয়েস্টিনে যাওয়ার প্রসঙ্গ।

উপদেষ্টার এই বক্তব্য এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

সম্প্রতি গুলশানে একটি চাঁদাবাজির ঘটনায় নাম এসেছে আসিফ মাহমুদের। সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টা নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে, তাই এটা নিয়ে মন্তব্য করা আমার উচিত না। তারপরও যেহেতু আমার নাম স্পেসিফিকভাবে সেখানে এসেছে এবং নামটা আসার পরে আমি একরকম অবাকই হই।’

‘জানে আলম অপুকে আমি চিনতাম ২০২২ সালে যখন আমি ছাত্র অধিকার পরিষদে ছিলাম। ৫ আগস্টের পর তার সঙ্গে আমার কখনো কথা বা দেখা হয়নি।’

এসময়ই মূলত ওয়েস্টিন হোটেলে যাওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে। তখন আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমি মাঝেমধ্যে রাতে যখন কাজ শেষ হয়, কখনো ভোর হয়, সে সময় বাসায় খাওয়া-দাওয়া দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। তখন আমি বেশিরভাগ সময় যাই ৩০০ ফিটের নীলা মার্কেটে। সেখানে হাঁসের মাংস খুব ভালো পাওয়া যায়। ওখানে যাই চার-পাঁচ জন মিলে। আবার মাঝেমধ্যে বেশি ভোর হয়ে গেলে সেখানে বন্ধ থাকে, তখন ওয়েস্টিনে যাওয়া হয়।’

তফসিলের আগেই পদত্যাগ

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রসঙ্গেও কথা বলেন এই উপদেষ্টা।

তিনি জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। তবে এর অর্থ তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেবেন, সেটি ধরে নেওয়া উচিত নয় বলেও উল্লেখ করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা বা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছেন, এমন যে কারও রাজনীতি কিংবা নির্বাচন করার ইচ্ছা থাকলে তাদের সবার পদত্যাগ করা উচিত। যেন কোনোভাবেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। নির্বাচনে নিরপেক্ষতার স্বার্থে এমনটি করা উচিত।’

‘যেহেতু আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বারবারই বলছেন যে আমরা ইতিহাসের একটা শ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে চাই, আর সেটা আমরাও চাই। যেহেতু আমরা এই সরকারের অংশ। এই ঐতিহাসিক দায় তো আমাদের ওপরে থাকবে, যদি নির্বাচনটা সুষ্ঠু না হয়।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *