সাদা বলের ক্রিকেটে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য খালেদের

টাইমস স্পোর্টস
2 Min Read
জাতীয় দলের পেসার খালেদ আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার, তবুও সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলে নিজের জায়গাটা পাকা করতে পারেননি খালেদ আহমেদ। ১৬টা টেস্ট খেললেও ওয়ানডেতে দেখা গেছে ২ ম্যাচে। আর টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে সর্বশেষ জুনের পাকিস্তান সফরে। নেপথ্যে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের বিপ্লব। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদদের সাথে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করে পেরে ওঠেননি এই ডানহাতি পেসার। অবশ্য সাদা বলের পেসারদের এই সুস্থ প্রতিযোগিতাকে অনুপ্রেরণা হিসেবেই নিচ্ছেন খালেদ। সিলেট থেকে উঠে আসা খালেদ জানিয়েছেন, বাকিদের থেকে এগিয়ে থাকার চেষ্টা তার সবসময়ই থাকে। 

সম্প্রতি গায়ানাতে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন গ্লোবার সুপার লিগ। ৪ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। সর্বশেষ বিপিএলেও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জার্সিতে ১৪ ম্যাচে ২০ উইকেট তার। তবুও জাতীয় দলের ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সার্কিটে থাকা পেসারদের দাপটে খালেদ একটু আড়ালেই থাকেন। যদিও এই প্রতিযোগিতার মধ্যেই নিজেকে টিকিয়ে রাখতে চান তিনি। 

বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে খালেদ বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই প্রতিযোগিতা থাকা ভালো। এটা যেকোনো দেশের জন্যই ইতিবাচক। দেখুন, আপনি যখন প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকবেন তখন কাজ করার আগ্রহ আরও বাড়বে। আমি আমার নিজের ক্ষেত্রে বলতে পারি আমি আমার ফিটনেস আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি যাতে আমি অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারি। এটা আমাকে বুস্ট আপ করে। আমি যদি পিছিয়ে যাই, তাহলে অনেক পিছিয়ে পড়ব। তাই আমার চেষ্টা থাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকার।’

ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে কালেভদ্রে ডাক পড়লেও টেস্ট স্কোয়াডের নিয়মিত মুখ খালেদ। ২০১৮ সালে অভিষেকের পর ১৬ টেস্টে নিয়েছেন ২৯ উইকেট। অবশ্য টানা টেস্ট খেলার সুযোগও তার হয়নি। ম্যাচ খেলার সুযোগ যা পেয়েছেন, তাতেই চেষ্টা করেছেন উন্নতির। টেস্টে বদলে যাওয়া এপ্রোচ মাথায় রেখে তার চেষ্টা থাকে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার।

‘কোনোটিই সহজ নয়, সবগুলোই কঠিন। এখন টেস্ট ক্রিকেটও দ্রুতগতির হয়ে গেছে। আমার চেষ্টা থাকে পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেয়া। যখন আমি দ্বিতীয় টেস্ট খেলিনি তখন শ্রীলঙ্কায় সাদা বলে অনুশীলন করছিলাম। কারণ আমি আগে থেকেই জানতাম যে আমি জিএসএলে খেলতে যাব। তখন শ্রীলংকায় প্র্যাকটিসটা করেছি’, বলেন ৩২ বছর বয়সী এই পেসার।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *