গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয় হত্যার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে শুক্রবার রাতে চারজনের গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। আর শনিবার সকালে জিএমপি মিডিয়া গ্রুপে জানানো হয় এ মামলায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা সাতজন।
জিএমপি উপকমিশনার রবিউল হাসান টাইমস অব বাংলাদেশকে বলেন, ‘সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় গত মধ্যরাত (শুক্রবার) পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে তাদেরকে সনাক্ত করা হয়।’
তিনি জানান, এদের মধ্যে জেলা সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান ও তার স্ত্রী গোলাপী এবং রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এছাড়া সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকা থেকে স্বাধীন নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এছাড়া সকালে জেএমপির মিডিয়া উইংস থেকে জানানো হয়, সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার ‘সরাসরি জড়িত অন্যতম আসামি’ মো: শাহ জালালকে (৩২) ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার চর মসলন্দ মোড়লপাড়ায় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এছাড়া অপর আসামি ফয়সাল হাসান ও সুমনকে গাজীপুরের চান্দোপাড়া বাসন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে শনিবার বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে বলে জানিয়েছে জিএমপি।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পৌরসভার চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে এক ব্যক্তির ওপর হামলার ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী চক্র। তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে চান্দনায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং সাংবাদিকতার পাশাপাশি একটি ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করতেন।
জিএমপির উপকমিশনার রবিউল ইসলাম জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বাদশা মিয়া নামে এক ব্যক্তি ও এক নারীর মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। বাদশা ওই নারীকে আঘাত করলে ধারালো অস্ত্র হাতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত নারীর পক্ষ নিয়ে তাকে আক্রমণ করে। বাদশা দৌড়ে পালিয়ে গেলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তুহিন মোবাইলে পুরো দৃশ্য ধারণ করছিলেন।
পুলিশের ভাষ্য, দুর্বৃত্তরা ভিডিও মুছে ফেলতে বললেও তুহিন অস্বীকার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা তুহিনকে ধাওয়া করে। তিনি প্রাণ বাঁচাতে কাছের একটি চায়ের দোকানে ঢুকলে সন্ত্রাসীরা সেখানে গিয়ে বুক, গলা, কাঁধ ও পিঠে এলোপাতাড়ি কোপায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।