গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন তার (তুহিন) স্ত্রী ফরিদা বেগম মুক্তা।
তিনি বলেন, ‘ভাড়াটিয়া কিলার দিয়ে পরিকল্পিতভাবে তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পেছনের মূল হোতাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি।’
মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানান মুক্তা।
সংবাদ সম্মেলনে ৭ দফা দাবিও জানান তিনি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর, সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ, খুনিদের জামিন না দেওয়া, এবং নিহত তুহিনের পরিবার ও সন্তানের দায়িত্ব গ্রহণ।
একই সঙ্গে আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ প্রধানের সঙ্গে জরুরি সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন মুক্তা।
এদিকে, সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ ও র্যাব। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি (মুক্তা)।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক খায়রুল আলম রফিক, তুহিনের বড় ভাই ও মামলার বাদী মো. সেলিম মিয়া।
এর আগে, ৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে গাজীপুর নগরের চান্দনা চৌরাস্তা মসজিদ মার্কেটের সামনে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে।
ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ভাই মো. সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বাসন থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে আটজনকে প্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।