বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষে পুরো সচিবালয় এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। এ ঘটনায় অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজার এলাকায়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকালে কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টা সি আবরারের পদত্যাগ দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে তারা সচিবালয়ের ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন।

পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সচিবালয় থেকে বের করে দেয়। এ সময় সচিবালয়ের সামনে পুলিশ সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটাতে দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে হতাহত শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য প্রকাশ ও এইচএসসি পরীক্ষার স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টার পাশপাশি সচিব সিদ্দিক জুবায়েরের পদত্যাগও দাবি করেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিমান দুর্ঘটনার পর এসএসসি পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা আসে গভীর রাতে। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী খবর না পেয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানতে পারেন। সবমিলিয়ে তাদের বিস্তর হয়রানির শিকার হতে হয়।

তারা মাইলস্টোন স্কুলের বিমান দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং সঠিক তথ্য প্রকাশের দাবি জানান।
সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ-সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও লাঠিপেটায় আহত হন।
এদিকে, পুলিশ-শিক্ষার্থী দফায় দফায় সংঘর্ষের মধ্যেই সিনিয়র শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জুবায়েরকে দ্বায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করেছে সরকার।