যুক্তরাষ্ট্রে মা দিবস পালন করা হয়েছে রোববার। এদিন যমজ সন্তান জন্মের সুখবর জানালেন আমেরিকান অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। তার ঘর পূর্ণ করেছে এক ছেলে ও এক মেয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে এই সুখবর দিয়েছেন তিনি।
মেয়ের নাম অ্যাগনেস ও ছেলের নাম ওশান রেখেছেন ৩৯ বছর বয়সী অ্যাম্বার হার্ড। এর আগে ২০২১ সালে এক কন্যাসন্তানের মা হন তিনি। তার নাম উনা। তখন থেকেই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলতে চেয়েছেন, মাতৃত্বের জন্য বিয়ের প্রয়োজনীয়তা গৌন।
ইনস্টাগ্রামে তিন জোড়া শিশুর পায়ের একটি ছবির নিচে অ্যাম্বার হার্ড লিখেছেন, ‘শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও একা ও নিজের ইচ্ছায় মা হওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা।’

অ্যাম্বার হার্ড উল্লেখ করেছেন, দায়িত্বশীলতার সঙ্গেই চিন্তাভাবনা করে মাতৃত্ব বেছে নিয়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘এর চেয়ে বেশি আনন্দ আর কিছুতে হতে পারে না।’
সকল মায়ের উদ্দেশ্যে অ্যাম্বার হার্ড বলেন, ‘যে যেখানেই ও যেভাবেই থাকুন, আমার স্বপ্নের পরিবার ও আমি আপনাদের সঙ্গে উদযাপন করছি।’
অ্যাম্বার হার্ডের ব্যবসাসফল ও বিখ্যাত চলচ্চিত্রের তালিকায় আছে ব্রুস রবিনসন পরিচালিত ‘দ্য রাম ডায়েরি’ (২০১১), প্যাত্রিক লুসিয়ের পরিচালিত ‘ড্রাইভ অ্যাংরি’ (২০১১), জেমস ওয়ান পরিচালিত ‘অ্যাকুয়াম্যান’ (২০১৮) প্রভৃতি।

‘দ্য রাম ডায়েরি’ ছবির শুটিংয়ে আমেরিকান অভিনেতা জনি ডেপের (তখন বয়স ছিল ৫২ বছর) প্রেমে পড়েন অ্যাম্বার হার্ড। তার বয়স ছিল ৩০ বছর। ২০১৫ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু একবছর না যেতেই তাদের দুটি পথ দু’দিকে গেছে বেঁকে। বিয়েবিচ্ছেদের পর এই প্রাক্তন দম্পতি পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে একে অপরের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।
২০১৬ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের আবেদন করার প্রায় দুই বছর পর ওয়াশিংটন পোস্টে একটি উপসম্পাদকীয় লেখেন আম্বার হার্ড। এতে তিনি অভিযোগ করেন, জনি ডেপ তাকে শারীরিক, মানসিক ও মৌখিকভাবে নির্যাতন করেছেন। অবশ্য ডেপ সেসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পরে সাবেক স্ত্রীর নামে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করেন জনি। হার্ডও উল্টো ১০০ মিলিয়ন ডলার মানহানির মামলা করেন জনির বিরুদ্ধে। শেষমেষ জনি ডেপের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে অ্যাম্বারকে দেড় কোটি ডলার জরিমানার নির্দেশ দেয় আমেরিকার একটি আদালত।