রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সরকার মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।’
তিনি জানান, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২-এর ধারা ১০ অনুযায়ী দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করা হবে।
নজরুল বলেন, ‘এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বুধবার সন্ধ্যায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগ নামের ওই ব্যবসায়ীকে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে ক্ষোভের বিস্তার ঘটে।
এর প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল হয়। একইদিন রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি মশাল মিছিল করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। খুলনায় বহিষ্কৃত যুবদল নেতা মাহবুব রহমান হত্যাসহ সাম্প্রতিক সহিংসতা ও খুনের ঘটনাগুলোরও প্রতিবাদ জানানো হয় এ কর্মসূচিতে।
এদিকে, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের চার নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে দলটি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন—যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক রজ্জব আলী (পিন্টু), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম (লাকি), চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাস, এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু।
নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।