সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে যারা ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ কোটার ব্যবহার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে সরকার।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে চাকরি পাওয়া ৯০ হাজার সরকারি চাকরিজীবীর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এদের মধ্যে যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে চাকরি নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদে’র শনাক্ত করে আদালতের মাধ্যমে তালিকা থেকে তাদের নাম বাতিলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
মুক্তিযুদ্ধ না করেও বিগত সরকারের সময় অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ গ্রহণ করেছেন এবং এখনও নানা ধরনের সুবিধা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ফারুক-ই আজম।
আলোচনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ছিল একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। পরবর্তীতে এই সংগঠনকে রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করা হয়েছে।’
‘এমনকি আদালতে মামলা করে পাঁচ বছর বয়সের শিশুকেও মুক্তিযোদ্ধা বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।’
এসময় রাজনৈতিক কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভাজন না করার আহ্বান জানান বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম।
আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি উঠে আসে দেশের বাকস্বাধীনতার প্রসঙ্গও। বক্তারা বলেন, দেশ স্বাধীন করার সময় বাংলার মানুষ যে দেশের স্বপ্ন দেখেছিল, তা এখনো পূরণ হয়নি। এখন যেভাবে দেশ পরিচালিত হচ্ছে তা নিয়েও দ্বিমত পোষণ করেন তারা। আলোচনায় উঠে আসে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথাও।