রাজধানীর পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলের দুই নেতাকে বহিস্কার করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে সোহাগকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিক্রিয়া হয়।
শুক্রবার (১১ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া শাখার উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ভাঙারি ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সোহাগকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। নিহত সোহাগের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।’
প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। তা যাচাইয়ের পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত দুই আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিনকে (২২) গ্রেপ্তার করে। রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) পৃথক অভিযানে এ মামলার আরও দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন- আলমগীর হোসেন এবং মনির হোসেন ওরফে লম্বা মনির।কেরানীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আলমগীর ও মনির এজাহারে পর্যায়ক্রমে চার এবং পাঁচ নম্বর আসামি।
এদিকে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে হত্যার ঘটনায় যুবদলের দুই নেতাকে বহিস্কার করা হয়েছে। তারা হলেন রজ্জব আলী পিন্টু ও সাবাহ করিম লাকি।
রজ্জব আলী পিন্টু যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক। আর সাবাহ করিম লাকি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তাদের প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যুবদল জানিয়েছে।