বাকৃবিতে হল ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

টাইমস ন্যাশনাল
2 Min Read
বাকৃবিতে চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: ইউএনবি
Highlights
  • ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাদের আন্দোলন থামানো যাবে না। যতক্ষণ না দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে, আমাদের আন্দোলন চলবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে আমরা হলে  অবস্থান করব’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ও প্রশাসনের আবাসিক হল ছাড়ার’ নির্দেশনার প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় হামলার ঘটনার বিচার, প্রক্টরের পদত্যাগ, ভিসির প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ চার দফা দাবি জানানো হয়েছে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, সোমবার সকাল ৯টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেআর মার্কেটে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।

বাকৃবির এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘কিছু হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে, এই হল বা বিশ্ববিদ্যালয় কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বহিরাগতদের হামলার বিচার না করে আবার হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’

‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাদের আন্দোলন থামানো যাবে না। যতক্ষণ না দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে, আমাদের আন্দোলন চলবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে আমরা হলে  অবস্থান করব’ বলেও জানান তিনি।

এর আগে, রোববার সমন্বিত ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান একদল ব্যক্তি। এতে সাংবাদিক-শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাস।

সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তে সকাল থেকেই প্রথমবর্ষের বেশকিছু শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে দেখা গেছে। রোববার রাতে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ সময় হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেন তারা।

এ সময় চার দফা দাবি উত্থাপন করেন তারা। দাবিগুলো হলো- একক ডিগ্রি, অর্থাৎ কেবল কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু রাখতে হবে; বহিরাগতদের দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করায় সম্পূর্ণ প্রক্টোরিয়াল বডিকে পদত্যাগ করতে হবে; বহিরাগত দ্বারা ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ গ্রন্থাগার ও স্থাপনা ভাঙচুর এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করার ঘটনায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে; এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না এই নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে, যেসব শিক্ষক এ হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *