কলম্বোর আকাশে ছিল হালকা রোদ, উইকেটও ব্যাটিংয়ের পক্ষে। তবে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ইনিংসটা যেন একটানা নয়, ভাঙাগড়ার মধ্যেই এগিয়েছে।
ইনিংসের ৪৮তম ওভারে এসে লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা এক রান নিয়ে ১১৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ডিপ ফাইন লেগে ঠেলে আনা সেই এক রান ছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সবচেয়ে মূল্যবান মুহূর্ত। কারণ তাঁর সেঞ্চুরির উপর দাঁড়িয়েই ২৪৪ রানের সংগ্রহ গড়ে লঙ্কানরা।
তবে ইনিংসের শেষটা ছিল বাংলাদেশের। তানজিম হাসান সাকিবের বলে ওয়াইড লং অন দিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে শান্তর হাতে ধরা পড়েন সেঞ্চুরিয়ান আসালাঙ্কা। ব্যক্তিগত ১০৬ রানে থামে তাঁর লড়াই। এরপর পরের বলেই ৫ রান করা ইশান মালিঙ্গাকে ফিরিয়ে দেন তানজিম, ইনিংস থামে ঠিক তখনই।
এই ম্যাচে শান্তকে বোলিং করতে দেখে অনেকেই অবাক। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তাঁর একমাত্র উইকেট ছিল অনেক আগের। তবুও অধিনায়ক তাঁকে বল দেন, আর শান্তও নিরাশ করেননি। প্রথম বলে চার খেলেও, তৃতীয় বলে জানিথ লিয়ানাগেকে তুলে নেন। লিয়ানাগে বড় শট খেলতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন, ক্যাচটি লুফে নেন তানজিম সাকিব।
শ্রীলঙ্কার ৫ম উইকেট পড়ে তখন ১৫৩ রানে।
এর আগে ৩ উইকেট পড়ে গেলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন আসালাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। পাওয়ার প্লে’র মধ্যেই তারা তুলেন দলের ৫০ রান। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরির পথে থাকা মেন্ডিসকে থামান অভিষিক্ত তানভির ইসলাম।
তানভিরের বল লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেছে কুশলকে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি, ফিরতে হয় ৪৫ রানে। ভাঙে ৬০ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি।
দিনের শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশি পেসারদের নিয়ন্ত্রণে। চোট কাটিয়ে ফেরা তাসকিন আহমেদ ইনিংস শুরু করেন মেইডেন দিয়ে। অন্য প্রান্তে থাকা তানজিম সাকিব ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই এনে দেন প্রথম ব্রেকথ্রু। অফ স্টাম্পের বাইরের বল এজ করে উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে ধরা পড়েন পাথুম নিশাঙ্কা। ফিরে যান ৮ বল খেলে শূন্য রানে।
শ্রীলঙ্কা ইনিংসে উঠানামা থাকলেও, আসালাঙ্কার সেঞ্চুরি তাদের শক্ত ভিত্তি দিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের তরুণ বোলারদের দায়িত্বশীল পারফরম্যান্স এনে দিয়েছে আত্মবিশ্বাস।
শান্তর উইকেট, তানভিরের ডেবিউ ব্রেকথ্রু, আর তানজিমের দুই উইকেট—সব মিলিয়ে সফরের শুরুটা বেশ গোছানোই বলা চলে।