আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’ লেখা ব্যানার টাঙিয়ে তা পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। প্রায় এক বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার পর বুধবার থেকে ১০তলা এই ভবনটি পরিষ্কার করা শুরু হয়। তবে যারা পরিষ্কার করছেন তাদের কারো পরিচয় জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার তৃতীয় তলায় জমে থাকা ইটের খোয়া ও ময়লা–আবর্জনার স্তূপ পরিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে দোতলায় জমে থাকা আবর্জনাও পরিষ্কার করা হয়। বুধবার সকাল থেকেই নিচতলা পরিষ্কার করা হয় বলে জানা গেছে।
দেখা যায়, ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি ভবনটি পরিষ্কারের কাজ করছেন। তারা বলেন,পুরো ভবন তারা পরিষ্কার করবেন। ভবনটির সামনে প্লাস্টিকের চেয়ারে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে বসে থাকতে দেখা গেছে।
সেখানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুরো ভবনটি পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই ভবনে ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের অফিস, শহীদ পরিবারের অফিস করা হবে।’
তারা দাবি করেন, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারি জমি দখল করে এই ভবনটি তৈরি করা হয়েছিল। পুরো ভবনের কোন তলায় কী হবে, তা ছাত্র–জনতা ঠিক করে নেবে, যোগ বরেন তারা।
ওই ব্যক্তিদের কেউ নিজেদের নাম–পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি। এদিকে আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট নামের এই প্রতিষ্ঠান কে তৈরি করেছে, এর সঙ্গে কারা যুক্ত, কীভাবে এই নাম এসেছে—সেসব প্রশ্নেও ওই ব্যক্তিরা কিছু বলতে রাজি হননি।
গুলিস্তান এলাকায় ১০ তলাবিশিষ্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি ২০১৮ সালের ২৩ জুন উদ্বোধন করেছিলেন দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভবনটিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর আগস্ট মাসজুড়ে চলে লুটপাট। তখন থেকে এই ভবন অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।