প্লট কেলেঙ্কারী: রেহানা, টিউলিপ, আজমিনা ও ববির বিরুদ্ধে চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
রেহানার পুত্রকন্যা: রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহিত
Highlights
  • ‘রাজউকের বিধান অনুযায়ী ঢাকায় যাদের প্লট, গাড়ি বা বাড়ি নেই, কেবল তারাই বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু শেখ হাসিনা পরিবার মিথ্যা হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল যে তাদের ঢাকায় কোনো সম্পত্তি নেই।’

পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে, যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক (ববি)-এর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পৃথক তিন মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এ এই সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।

টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য এবং দেশটির সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে এই দুর্নীতির মামলায় বিচারাধীন। এর আগে গত ১১ আগস্ট একই ধরনের অভিযোগে অপর তিন মামলায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

দুদকের ছয়টি মামলার মধ্যে তিনটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৫ গত ১১ আগস্ট তারিখ ধার্য করেন এবং বাকি তিনটির জন্য বিশেষ জজ আদালত-৪ ১৩ আগস্ট তারিখ ধার্য করেন। মামলাগুলোতে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্য ছাড়াও মোট ২৩ জন অভিযুক্ত।

শেখ হাসিনা পরিবারের বাইরে অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, গণপূর্তের তৎকালীন সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিয়া, একাধিক সাবেক ও বর্তমান সদস্য, পরিচালক, উপপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব এবং মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো. মইনুল হোসেন বলেন, ‘রাজউকের বিধান অনুযায়ী ঢাকায় যাদের প্লট, গাড়ি বা বাড়ি নেই, কেবল তারাই বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু শেখ হাসিনা পরিবার মিথ্যা হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল যে তাদের ঢাকায় কোনো সম্পত্তি নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু তদন্তে প্রমাণ মেলে যে তাদের নামে জমি, বাড়ি ও গাড়ি রয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠার প্লট নিয়েছেন, যা অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গসহ অন্যান্য অপরাধের শামিল এবং এর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।’

দুদকের পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, ছয় মামলায় আসামিদের আদালতে হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে মামলাগুলো বিচারিক আদালতে বদলির নির্দেশ দেয় জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।

২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বরাদ্দ নেওয়া প্লটের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ২০২৫ সালের ১০ মার্চ ছয় মামলার অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেয় সংস্থাটি।

 

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *