তিন মাসের টানা বৃষ্টিতে যশোরের চৌগাছা উপজেলার প্রায় চার হাজার বিঘা কৃষিজমি তলিয়ে গেছে। এতে নারানপুর ইউনিয়নের অন্তত ১০ হাজার পরিবার সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়েছে। জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান না থাকায় প্রতি বছরই কৃষি খাতে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। এবারের ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, নারানপুর ইউনিয়নের সোনাবেলে ও ফাসতলা মাঠ বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। ধান, কলা, পাট, ড্রাগন, পেয়ারা বাগানসহ বিভিন্ন মৌসুমি সবজি ও ফলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।
কৃষক মফিজুল বলেন, ‘৩০ বছর ধরে বর্ষা এলে জমি পানিতে তলিয়ে যায়। ধান, ভুট্টা, পাট চাষ করলেও ফসল তোলার আগে সব ডুবে যায়।’ কৃষক আব্দুল মালেকের অভিযোগ, জলাবদ্ধতার কারণে চার ফসলি জমি এক ফসলি জমিতে পরিণত হয়েছে।
জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান চেয়ে কৃষক তরিকুল ইসলাম ডাবলু উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা পরিষদে লিখিত আবেদন করেছেন। তার দাবি, আধা কিলোমিটারের একটি ড্রেন নির্মাণ করে পানি কপোতাক্ষ নদে ফেলতে পারলেই এ দুর্ভোগ দূর হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুশাব্বির হোসাইন বলেন, সাধারণত নারানপুরের এক হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান হয়। এবার অতিবৃষ্টিতে ৫০০ হেক্টর জমি এখনও জলাবদ্ধ। সমস্যার সমাধানে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ চলছে।