আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত ৫৪৭ জন কর্মকর্তা তাদের পুনর্বহালসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছেন। শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। চাকরিচ্যুতদের তালিকায় রয়েছেন স্থায়ী ও অস্থায়ী উভয় ধরনের কর্মকর্তা। তাদের অভিযোগ, অজানা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এ সময় তারা জানান, তারা ২০ জুলাই হঠাৎ করেই কোনো পরীক্ষাব্যবস্থা ছাড়াই চাকরিচ্যুতির নোটিশ পান। বিষয়টি জানতে চেয়ে ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করলে আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান সংশ্লিষ্টরা।
দাবিগুলো হলো-চাকরিচ্যুতদের স্বপদে ও স্বশাখায় পুনর্বহাল, চাকরিতে বহাল রেখে পূর্ববর্তী ইনক্রিমেন্ট বহাল রাখা, প্রবেশন পিরিয়ডে চাকরিচ্যুতদের পুনরায় চাকরিতে ফেরানো এবং যথাসময়ে কনফারমেশন প্রদান, সকলকে যথাসময়ে প্রমোশনের জন্য তালিকাভুক্ত করা, কোনো ধরণের মূল্যায়ন বা পরীক্ষার আগেই চাকরিচ্যুতি প্রক্রিয়ার বিরোধিতা, অতীতের মত সকল সুযোগ-সুবিধা পুনঃপ্রদান এবং ভবিষ্যতে কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধে নীতিগত পদক্ষেপ নেওয়া।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। তারা জানান, ২৭ জুলাই থেকে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা বলেন, কোনো নোটিশ ছাড়াই, বিনা তদন্তে ও যাচাই ব্যতীত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকটির এক কর্মকর্তা টাইমস অব বাংলাদেশকে জানান, আমরা আজকের মধ্যে প্রেস ব্রিফিং করব। তখন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।