কোরবানি ঘিরে আকস্মিক দুর্ঘটনায় বিষাদে পরিণত হয়েছে সহস্রাধিক মানুষের ঈদ উৎসব । রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে গত তিন দিনে এক হাজারের বেশি ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন কোরবানি সংশ্লিষ্ট নানা দুর্ঘটনায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে কেউ হাত-পা কেটে ফেলেছেন। কেউ আবার আহত হয়েছেন গরুর লাথি খেয়ে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অনেকে হাসপাতাল ছাড়তে পারলেও প্রায় ৩শ জন ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের বেডেই কাটছে তাদের ঈদের সময়। স্বজনরাও ঈদ উৎসব বাদ দিয়ে ছুটছেন হাসপাতালে।
সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) জরুরি বিভাগে আহত শতাধিক ব্যক্তির চিকিৎসা দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. রিপন ঘোষ। তিনি জানালেন, ঈদের আগের দিন থেকে এ ধরণের রোগী আসা শুরু। কোরবানির গরুর লাথি খেয়ে আহতের সংখ্যা ছিল সেদিন বেশি। ঈদের দিনসহ সর্বশেষ তিন দিনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ৯৪২ জন। তাদের মধ্যে জরুরি অপারেশন লেগেছে ২৬৪ জনের। হাসপাতালে ভর্তি ৩২৪ জন এবং হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন ৬১৮ জন।

হাসপাতালের স্টাফরা জানান, ঘরোয়া দুর্ঘটনার বাইরে ঈদের দিন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অনেকে আসছেন। যাদের বেশিরভাগ মাংস বিতরণে বের হয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। তবে ঈদের আগের দিন পশু কিনতে গিয়ে গরুর লাথিতে হাত-পা ভাঙা রোগী এসেছেন ৩১৬ জন। তাদের মধ্যে জরুরি অপারেশন লেগেছে ৭৯ জনের। আর মোট ভর্তি হয়েছে ৮৫ জন।
আর ঈদের দিন ও ঈদের পরদিন যেসব রোগী এসেছেন তাদের অধিকাংশ পশু জবাই করতে গিয়ে কারও হাত কেটে গেছে, কারও পা কেটে গেছে, কারও রগ কেটে গেছে। গুরুতর আহত না হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
এরকম শতাধিক রোগী ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে সোমবার এ ধরণের রোগী কম এসেছেন বলে জানান হাসপাতাল সংশ্লিস্টরা।