বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেয়। এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে হাজির করার পর কলিমুল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী। তবে জামিন চেয়ে শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক।
এদিন সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় নিজ বাসা থেকে কলিমউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এর আগে, ১৮ জুন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কলিমুল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এর আগে বেরোবি সাবেক উপাচার্য এ কে এম নুরু-উন-নবী, নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
এদিন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া অন্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এম এম, হাবিবুর রহমান।
বেরোবির সাবেক ভিসি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। দুদকের মামলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারের চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক এ ভিসি এবং আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহারে অভিযোগ, তারা পরস্পর যোগসাজশে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের ডিপিপি উপেক্ষা করে সরকারি নিয়মাবলি লঙ্ঘন করেছেন।
দুদক অভিযোগ, এই পাঁচ আসামি মোট ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে ছিল ৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের চুক্তি সম্পাদন, নকশা পরিবর্তন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কাজ চালানো এবং নিরাপত্তা জামানত হিসেবে রাখা অর্থ এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা করা।