জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে সপ্তাহব্যাপী কলম বিরতি, অবস্থান কর্মসূচি এবং দুই দিনের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এর পর কাজে ফিরেছেন আন্দোলনরত কর্মকর্তারা।
সোমবার দেশের সব কর, ভ্যাট এবং কাস্টমস হাউজে কর্মীরা কাজে যোগ দিয়েছেন বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের (সংবাদমাধ্যম) এবং ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে পাচ্ছি, সব কাস্টম হাউজ সচল রয়েছে। খুবই ভালোভাবে কাজ চলছে, কোনো অসুবিধা নেই। এনবিআর সদর দফতরেও সবাই কাজে ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’
টানা আন্দোলনের মধ্যে ‘‘কমপ্লিট শাটডাউনের’’ দ্বিতীয় দিন রোববার সরকার নড়েচড়ে বসে। এনবিআরের সেবা ‘‘অত্যাবশ্যকীয়’’ ঘোষণা করে আন্দোলনকারীদের কাজে যোগ দিতে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। একইসাথে ছয় আন্দোলনকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
রোববার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকে বসেননি অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। শাটডাউন চলা অবস্থায় আলোচনায় রাজি নন বলে জানিয়ে দেন তিনি।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পাঁচ উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠনের কথা জানায় সরকার।
দিনভর নানা নাটকীয়তার মধ্যে শেষ পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টা ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেই বৈঠকে ‘‘ইতিবাচক আশ্বাসের’’ ভিত্তিতে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ তাদের শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।
এর আগে, ধর্মঘটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অচলাবস্থায় প্রতিদিন আমদানি-রপ্তানি খাতে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। তারা এই সংকটের দ্রুত সমাধান দাবি করেন।