দীর্ঘদিনের বিভক্তি পেছনে ফেলে জাতীয় পার্টিকে ‘ঐক্যবদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন দলের একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
শুক্রবার ঢাকার গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপা নেতা আনিসুল বলেন, ‘শনিবার জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে, যা দলের জন্য একটি ঐতিহাসিক মোড়বদলের সূচনা।’
তিনি জানান, আদালতের আদেশ অনুযায়ী বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দলের গঠনতন্ত্রের ২০(২)(খ) ধারা অনুযায়ী সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত প্রেসিডিয়াম বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে কাউন্সিল আহ্বানের সিদ্ধান্ত হয়।
আনিসুল বলেন, ‘এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। বিতর্কিত ধারা বাতিল করে দলকে যৌথ নেতৃত্বে পরিচালনার ব্যবস্থা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাউন্সিল ৩০ জুনের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল। ভেন্যু সংকটের কারণে তা পিছিয়ে যায়। কমিশনের কাছে সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে, তবে গণতান্ত্রিক চেতনা রক্ষায় কাউন্সিল দেরি না করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু লিখিত বক্তব্যে জানান, শনিবার গুলশানের ইমানুয়েল পার্টি সেন্টারে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেট অংশ নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘পল্লীবন্ধু শুধু রাজনীতিক ছিলেন না, ছিলেন রাষ্ট্রনায়ক ও আধুনিক বাংলাদেশের কারিগর। তার আমলে উপজেলা ব্যবস্থা, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচনসহ অনেক সংস্কার আজও দেশের ভিত্তিকে শক্ত করে রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। ১৯৭১ সালের আদর্শ ও ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রত্যাশাকে বাস্তবে রূপ দিতে দল নতুন যাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, নাসরিন জাহান রত্না, নূরুল ইসলাম মিলনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।