যৌথবাহিনীর অভিযানে এক রাতের মধ্যেই সিলেটের ভোলাগঞ্জে ফিরিয়ে দেওয়া হলো লুট হওয়া ১২ হাজার ঘনফুট সাদাপাথর।
বৃহস্পতিবার যৌথবাহিনী রাতভর ভোলাগঞ্জ ও আশেপাশের এলাকায় লুট হওয়া সাদাপাথরের সন্ধানে অভিযান চালায়। এ সময় কালাইরাগ এলাকা থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত ১২ হাজার ঘনফুট সাদাপাথর জব্দ করে টাস্কফোর্স।
উদ্ধারকৃত এই সাদাপাথরকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে দিতে রাতেই কাজ শুরু করে সিলেট প্রশাসন। গভীর রাতেই সাদাপাথরে পর্যটন এলাকায় নতুন করে ওই পাথরগুলো বিছিয়ে দেওয়া হয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার সাংবাদিকদের বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন ও যৌথবাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণে উদ্ধারকৃত সাদাপাথর পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অভিযান হওয়ায় সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, ভোলাগঞ্জে লুট হওয়া বিপুল পরিমাণ সাদা পাথর উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে যৌথবাহিনী। বৃহস্পতিবার রাতভর বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক পাথরবোঝাই ট্রাক থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই পাথরগুলোর উৎস যাচাই করা হয়।
যৌথবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে ট্রাকে করে আনা এসব পাথরের আমদানির প্রমাণপত্র পরীক্ষা করে দেখেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

জাফলং, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক ও ভোলাগঞ্জের প্রবেশ মুখে একই ধরনের অভিযান পরিচালিত হয়।
স্থানীয়রা জানান, সিলেটের ভোলাগঞ্জ সীমান্তের শূন্যরেখার কাছে ধলাই নদের কাছে প্রায় ১৫ একর এলাকাজুড়ে সাদা পাথরের অবস্থান। প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য ঘিরে গড়ে উঠেছে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রও।
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রকাশ্যে নির্বিচারে লুট হয় ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় শত শত নৌকা দিয়ে চলে এই লুটপাট।
সিলেট জেলা প্রশাসন জানায়, গত এক সপ্তাহেই এলাকাটির প্রায় ৮০ শতাংশ সাদাপাথর তুলে নেওয়া হয়েছে, যার মূল্য কয়েক’শ কোটি টাকা।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কেবল পাথরই নয়, ধলাই নদীর তীরের বালু ও মাটিও খুঁড়ে নেওয়া হয়েছে। সাদাপাথর অঞ্চল এখন বিরানভূমি।