বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে থাকলেও পুরোপুরি প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ মূলত আমরা বিগত সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের উত্তরাধিকার হিসেবে গ্রহণ করেছি।
বুধবার সকালে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) কনফারেন্স রুমে নাগরিক উদ্যোগ ও পিপলস হেলথ মুভমেন্ট (পিএইচএম) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণী উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ ও দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে সতর্ক পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘গত সরকারের সময়ে প্রকাশিত মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), ব্যক্তিগত আয়, মাতৃস্বাস্থ্য ও অন্যান্য সামাজিক সূচকগুলো বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশ এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) উত্তরণের ফলে শুল্ক ও জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেস (জিএসপি) সুবিধার প্রভাব কোথায় বৃদ্ধি পাবে এবং কোথায় হ্রাস পাবে তা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতিও জরুরি।’
উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, ‘বিদেশ থেকে স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস আমদানি করলে দেশীয় গবাদিপশুর বাজারে প্রভাব পড়বে এবং খামারিদের ক্ষতি হতে পারে। আমরা আমদানি কমানোর চেষ্টা করছি, কারণ এতে জুনোটিক রোগের ঝুঁকি রয়েছে।’
তিনি জানান, সাগরের সি উইড (সামুদ্রিক শৈবাল) ও কুচিয়া রপ্তানিতে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য আমদানি হ্রাস ও দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের জেনেভা ভিত্তিক লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ও সিনিয়র রিসার্চার সানিয়া রিড স্মিথ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জাহেদ মাসুদ ও অ্যাডভোকেট তাসলিমা জাহান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক উদ্যোগের কো-অর্ডিনেটর বারাকাত উল্লাহ মারুফ।