উত্তরাখণ্ডের পর এবার ভারতের হিমাচল প্রদেশে ‘মেঘভাঙা বৃষ্টি’ এবং আকস্মিক বন্যায় পরিস্থিতি নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছে। বুধবার পাহাড়ি ঢলে হিমাচলের কিন্নৌর এলাকায় বেশ কিছু ঘরবাড়ি ধসে পড়ে এবং পানির তোড়ে ভেসে যায় টাংলিং খালের অস্থায়ী সেতু। এর ফলে কিন্নৌরি-কৈলাস ট্রেকিং রুটে আটকা পড়ে ৪১৩ তীর্থযাত্রী। পরে সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকারীদের চেষ্টায় জিপলাইনের মাধ্যমে তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এর আগের দিন মঙ্গলবার, মেঘভাঙা বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যার ফলে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী অঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে যায়। সেখানে শতাধিক তীর্থযাত্রী অবস্থান করছিলেন, তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন উত্তরকাশীর জেলা প্রশাসক। তবে হঠাৎ বন্যায় কতজন ভেসে গেছেন বা নিখোঁজ আছেন, সে বিষয়ে সরকারি হিসেব জানা যায়নি।
স্থানীয়দের মতে, ধরালী, আশপাশের এলাকা এবং হরশিল সেনাক্যাম্প থেকে অন্তত ১১ সেনা, পর্যটক ও স্থানীয়সহ অর্ধশতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। কেরালা রাজ্য সরকারের দাবি, উত্তরাখণ্ডে তীর্থযাত্রা করতে গিয়ে রাজ্যের অন্তত ২৮ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সচিব বিনোদকুমার সুমন জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে এয়ারলিফট করে উদ্ধারকর্মীদের উত্তরাখণ্ডে পাঠানো হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিনিয়ত বিপর্যয়ের পরিস্থিতি মনিটরিং করছে।
বুধবারও বৃষ্টি থামার কোনো লক্ষণ দেখা না দেওয়ায় উত্তর ভারতের হিমালয় ঘেরা দুই রাজ্য হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের সোলান জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে চক্কী মোড় হাইওয়ে। বুধবার সকালে ভূমিধসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে চণ্ডীগড়-শিমলা জাতীয় সড়ক এবং চণ্ডীগড়-মানালী হাইওয়ে।