ইসরায়েলে চালানো ইরানের পাল্টা মিসাইল হামলায় এক ইসরায়েলি নারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া চল্লিশ জনের মতো আহতের ঘটনা ঘটেছে। যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
সিএনএন তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই নারী ইরানের মিসাইলের আঘাতে গুরুতর আহন হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্তত দুজন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল।
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান তিন দফায় কয়েকশ ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে। যার কিছু যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ইসরায়েলে পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কয়েকটি সূত্র।
এর প্রেক্ষিতে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যেসব দেশ ইরানের হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করবে- এই অঞ্চলে তাদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে।
ইরানের এ হামলার মাঝে শনিবার সকালে তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সেখানে অন্তত দুটি ড্রোন অথবা মিসাইল আঘাত হানে বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
এদিকে তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে ইরানের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার রাতে বাংকারে অবস্থান নেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ সময় তার সঙ্গে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ ছিলেন।
শুক্রবার ভোররাতে ইরানের পরমাণু স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, আইআরজিসির বিমানবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহসহ অন্তত ২০ জন কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
ইরানে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৭৮ জনের মৃত্যু এবং ৩২০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।