ইরান-ইসরায়েল সংকটের কূটনৈতিক সমাধানে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি’র সঙ্গে বৈঠকে বসছে। শুক্রবার এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এপি তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ঠিক এমন সময় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলকে সঙ্গে নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নেওয়ার কথা ভাবছেন।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিও জেনেভা সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনিও ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাজা কালাসেরও এই বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে গত এক সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পর এটিই হবে ইরান ও পশ্চিমা নেতাদের মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনা।
এর আগে, ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও-র সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। সেখানে তারা একমত হয় যে, ‘ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না।’
নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য জোটভুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে রাশিয়া ও ইরানের মিত্ররা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে- যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ হবে ‘চরম ঝুঁকিপূর্ণ একটি পদক্ষেপ’।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেও এ বিষয়ে শুক্রবার দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ বৈঠকের আহ্বান করেছে ইরান। ইরানের এ আহ্বানে সমর্থন করেছে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তান।
গত শুক্রবার ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েল। তারা ইরানের কয়েকজন শীর্ষ জেনারেল ও পরমাণুবিজ্ঞানীকে হত্যা করে। জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালায় ইরান। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে।