ইমরান খানের জামিন: ‘আশার আলো’ দেখছে পিটিআই

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। ফাইল ফটো

পাকিস্তানের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার ‘২০২৩ সালে দাঙ্গায় জড়িত’ আট মামলায় জামিন পান সেদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়, ‘সাইফার’ মামলার পর ‘দাঙ্গা সৃষ্টির’ মামলায়ও ইমরান খানের জামিনের খবরে ‘আশার আলো দেখছে’ পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা। তাদের বিশ্বাস, ইমরান খানের বিরুদ্ধে যে ‘মিথ্যা মামলা’ সাজানো হয়েছিল তা সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রমাণ হয়ে গেছে। ইমরান খানের জামিন আদেশই তার নির্দোষ হওয়ার প্রমাণ।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে এখন শুধুমাত্র ‘আল-কাদির ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলাটি বিচারাধীন আছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে পিটিআই-এর মহাসচিব সালমান আকরাম রাজা বলেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ন্যায়বিচার পাওয়া জাতির জন্য একটি স্বস্তি ও আনন্দের মুহূর্ত।’ তিনি আশা করেন, আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটিও পিটিআই-এর পক্ষেই নিষ্পত্তি হবে এবং ইমরান খানের কারামুক্তি আরও সহজ করবে।

২০২৩ সালের ৯ মে নিরাপত্তা বাহিনী এবং ইমরান খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ | ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালের ৯ মে জমি-সংক্রান্ত ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ এনে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে দাঙ্গা শুরু করে পিটিআইয়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। বিক্ষোভকারীরা সরকারি স্থাপনা, যানবাহন ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় বলে অভিযোগ করে তৎকালীন সামরিক সরকার।

ওই মামলায় গত জানুয়ারিতে ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তার স্ত্রী বুশরা বিবিকেও ৭ বছরের সাজা দেয় আদালত।

ইমরান খান ও তার দুইপুত্র। ফাইল ছবি, ফেসবুক

পিটিআই নেতা লতিফ খোসার দাবি, ওই দাঙ্গার ঘটনায় ইমরান খানকে আসামি করার পুরো বিষয়টিই ছিল ‘মিথ্যা’। তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে পুরো মামলা সাজানো হয়েছে। আট মামলার পাঁচটিতেই ইমরান খানের নাম ছিল না। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। কাজেই এসব মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার দেখানো সম্পূর্ণ অবৈধ।’

লতিফ খোসা আরও বলেন, ‘যে অর্থ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তা মূলত সিন্ধু সরকারকে দেওয়ার কথা ছিল। তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ওই অর্থ ড্যানিশ স্কুল প্রকল্পে ব্যয় করেছেন। এখানে ইমরান খান নয় বরং কেন্দ্র ও প্রাদেশিক সরকার জড়িত। এটি তাদের মধ্যে মীমাংসা করতে হবে।’

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *