আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আগামীতে নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে। এ নির্বাচন ঘিরে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালবাসা অর্জন করা গেলে সব যড়যন্ত্র মোকাবেলা করাও সম্ভব।’
সোমবার সন্ধ্যায় নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপিতে মানুষ আস্থা রাখতে চায়। যে কাজ করলে দেশ ও মানুষ উপকৃত হবে তা বিএনপিকে করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারঘোষিত আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে নির্বাচিত করবে।’
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তারা দেশের স্বার্থ চিন্তা না করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছে। তারা যখন দেশ লুটপাট করছিল, রাষ্ট্র মেরামতে তখন বিএনপি ৩১ দফা ঘোষণা করে। এখন সংস্কার সংস্কার বলে দাবি তুলছেন, বিএনপি আড়াই বছর আগে সংস্কারের দাবি তুলেছিল।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির দেশ পরিচালনা অভিজ্ঞতা আছে। কীভাবে ফসল উৎপাদন করতে হয়, কর্মসংস্থান বাড়ানো যায়, নারী শিক্ষা কীভাবে উন্নয়ন করা যায় এবং শিল্প-কলকারখানা করা যায় তা বিএনপি জানে।’
এ সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।
নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম রেজাউল ইসলাম রেজুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম ও এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সামসুজ্জোহা খান, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাসহ অন্যরা।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। ফলে সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে।
এর আগে ২০১০ সালে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে দলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন।
২০১৫ সালে ওই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর সম্মেলনের মাধ্যমে আর কোনও কমিটি গঠন হয়নি। সবশেষ ২০২২ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়। ওই কমিটির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু ও বায়েজিদ হোসেন পলাশকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।