রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে এ সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।
নিবন্ধন স্থগিতের গেজেট নোটিফিকেশনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও তিনি জানান।
এর আগে দুপুরে সিইসি নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন হাতে পাওয়ার পরই দলটির নিবন্ধন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।’
সরকার নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা পর দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবি তোলে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার পৌনে ছয়টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের অফিসে জরুরি বৈঠক শুরু হয়। দীর্ঘ বৈঠকের পর রাতেই ইসি সচিব সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করার সংবাদ জানান।
সোমবারই সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এ গেজেটের আলোকে ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক যে কোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এ নিষেধাজ্ঞার ফলে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারাবে- এমন আশঙ্কা আগেই তৈরি হয়েছিল। তবে ইসি আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নয়, স্থগিত করেছে। সে হিসেবে নির্বাচনি আইন অনুসারে দলটি পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারাবে কীনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে বিভিন্ন আইনি ও সাংবিধানিক দিক বিবেচনা করে পরে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।