১১ জুলাই ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’: আসিফ মাহমুদ

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন আসিফ মাহমুদ। ছবি: বাসস

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ১১ জুলাই দিনটিকে ‘‘জুলাই আন্দোলনের প্রথম প্রতিরোধ দিবস’’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

শুক্রবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত ‘‘গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার প্রথম প্রতিরোধ দিবস–১১ জুলাই’’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, ‘১১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, তা সারাদেশের আন্দোলনকারীদের সাহস যুগিয়েছিল। এই দিনেই আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয় স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার, যার সূচনা হয় এখান থেকেই।’

তিনি বলেন, ‘বিকেল তিনটার দিকে আমাদের শাহবাগে কর্মসূচি চলছিল। তখনই খবর আসে- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে ওঠে এবং দেশজুড়ে নতুন মাত্রা পায়।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাহসিকতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘সেদিন আপনারা শুধু ব্লকেড সফল করেননি, বরং রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরুদ্ধ রেখেছিলেন। এই প্রতিরোধ সারা দেশে নতুন আশার সঞ্চার করেছিল।’

“আমরা বলতাম—‘বাঁধা দিলে বাধবে লড়াই’, আপনারাই তার বাস্তব উদাহরণ,’ বলেন উপদেষ্টা।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই সাহসিকতার ধারাবাহিকতায় আন্দোলন তীব্রতর হয় এবং শেষ পর্যন্ত দেশের মানুষ স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্তি পায়।’

এই দিনকে ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই প্রতিরোধ চিরস্মরণীয় করে রাখতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ‘‘স্মৃতির মিনার’’ নির্মিত হচ্ছে, তাকে আমি সাধুবাদ জানাই।’

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ‘‘জুলাই মিনার’’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *