চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩২টি চলচ্চিত্রকে মোট ১৩ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ১২টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০টি।
৩০ জুন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা. শারমিন আখতার স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ও প্রযোজকদের নাম প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- রবিনহুডের আশ্চর্য অভিযান, মায়ের ডাক, জুলাই, রুহের কাফেলা, পরোটার স্বাদ, খোঁয়ারি, জীবন অপেরা, জলযুদ্ধ, কবির মুখ দ্য টাইম কিপার, কফিনের ডানা, নওয়াব ফুজুন্নেসা ও জুঁই।
অনুদানের জন্য মনোনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো-মন্দ-ভালো, ফেলানী, ঝুঁকির মাত্রা, জীবনের গান, হু হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই, ভরা বাদর, ১২৩০, বৃন্দারাণীর আঙুল, একটি সিনেমার জন্য, দাফন, সাঁতার, মাংস কম, গগন, অতিথি, বোবা, অদ্বৈত, আশার আলো, গর্জনপুরের বাঘা, হোয়ার দ্য ওয়াটার স্লিপস এবং অপসময়।
অর্থ ছাড়ের ধাপ ও সময়সীমা
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রি-প্রডাকশনের জন্য অনুদানের ২০ শতাংশ এবং স্বল্পদৈর্ঘ্যের জন্য ৩০ শতাংশ প্রথম কিস্তি হিসেবে প্রদান করা হবে। এই কিস্তি ছাড়ের পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শুটিং শিডিউল, বিস্তারিত প্রোডাকশন প্ল্যান, লোকেশন অনুমতিপত্র, শিল্পী ও কলাকুশলীদের সঙ্গে চুক্তিপত্র এবং প্রয়োজনীয় দলিলাদি জমা দিতে হবে। এসব পর্যালোচনা করে ‘চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান’ কমিটি দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করবে- যেখানে পূর্ণদৈর্ঘ্যে ৫০ শতাংশ ও স্বল্পদৈর্ঘ্যে ৪০ শতাংশ অর্থ দেওয়া হবে।
তৃতীয় কিস্তি হিসেবে বাকি ২০ শতাংশ অর্থ পোস্ট-প্রডাকশনের জন্য বরাদ্দ থাকবে। এ কিস্তি পেতে হলে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়ার পর পূর্ণদৈর্ঘ্যে ১২ মাসের মধ্যে ও স্বল্পদৈর্ঘ্যে ৬ মাসের মধ্যে চিত্রায়িত অংশের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ রাফকাট জমা দিতে হবে।
সময়সীমা ও প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা
পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র ১৮ মাস এবং প্রামাণ্যচিত্র ২৪ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে ১২ ও ১৮ মাস সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন না হলে যথাযথ কারণ দেখিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্যে দুই দফায় ৬ মাস করে এবং স্বল্পদৈর্ঘ্যে ৩ মাস করে সময় বাড়ানো যাবে।
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের স্থিতিকাল ন্যূনতম ৭০ মিনিট এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য ৩০ মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। এছাড়া পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলোকে প্রেক্ষাগৃহ অথবা অন্তত ১০টি অডিটোরিয়াম বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের কাহিনি বা নির্মাণ মৌলিক না হলে এবং তা প্রমাণিত হলে প্রাপ্য অর্থ সুদসহ সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে।