আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কার্যকর ও দৃশ্যমান সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১০ দফা প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় সংস্কার জোট।
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘জুলাই সনদ-সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়।
জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক মেজর আমিন আহমেদ আফসারী (অব.) প্রস্তাবগুলো ঘোষণা করেন। এই জোটে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ৪টি জোট ও ৩৫টি রাজনৈতিক দল।
প্রস্তাবগুলো হল-১. সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই। বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে জুলাই-আগস্টের স্পিরিট ধারনকারী ব্যক্তিদের দ্বারা সরকার পূনরায় গঠন করতে হবে।
২. কালক্ষেপণ না করে ৫ আগস্ট বিজয়ের বর্ষপূর্তির আগেই সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ নয়, তারা জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটের সরকার এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার সরকার বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে।
৪. অনতিবিলম্বে সংস্কার ও নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে।
৫. আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও পুনর্গঠন নিশ্চিত করতে হবে।
৬. জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আহত সংগ্রামী বীরদের চিকিৎসা, নিরপত্তাসহ সব বিষয়ে পূর্ণ দৃশ্যত সহযোগিতা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
৭.সকল অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলসহ (নিবন্ধিত/অনিবন্ধিত) বৈষম্যবিহীনভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
৮. শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে উদ্যোগ নিতে হবে।
৯. সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কার ও আধুনিকায়নে উদ্যোগ নিতে হবে।
১০. নির্বাচনের তিন মাস আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে অন্তর্বর্তী সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে জাতীয় নির্বাচন বির্তকিত হতে পারে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার মিলন। সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানের সরকারকে জাতীয় সংস্কারের মাধ্যমে জুলাই আগস্টের চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সংরক্ষিত আসনে সাবেক সাংসদ তাসনিম রানা। তিনি সংস্কার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের সংবিধানের সংস্কার করতে হবে। আমাদের সংবিধান নিজেই অগণতান্ত্রিক এটি তাহলে কীভাবে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’
জাতীয় সংস্কার জোট আয়োজিত এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন মেজর জেনারেল আমসা আমিন (অব), শওকত মাহমুদসহ জাতীয় সংস্কার জোটের অন্তর্ভুক্ত ৪টি জোট ও ৩৫ টি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা।