এবার সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭০ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার ভোরে তাদেরকে এ দুই জেলার সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা হয় বলে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ভারতের অব্যাহত পুশইনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে যাদের পুশইন করা হচ্ছে তারা বৈধ পন্থায় (প্রোপার চ্যানেলে) আসছে না।’
বৃহস্পতিবার গাজীপুরের একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অমানবিকভাবে তাদের ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, বিষয়টি ভারতের হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে।’
সিলেট ব্যাটালিয়ন-৪৮ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সীমান্তে অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বিজিবি জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের জৈন্তাপুরের শ্রীপুর বিওপি (বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট) দিয়ে ১৭ জন, মিনাটিলা বিওপি দিয়ে ২৩ জন, কোম্পানিগঞ্জে কালাইরাগ বিওপি দিয়ে ১৩ জনকে পুশইন করা হয়। এছাড়া সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে পুশইন করা হয়েছে। ৭০ জনের মধ্যে পুরুষ ২২ জন, নারী ১৮ জন ও শিশু ৩০ জন। এদের সবার বাড়ি কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলায়।
জৈন্তাপুরের শ্রীপুর বিওপি দুই পরিবারের ১৭ জনকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও চারজন নারী এবং ৯ জন শিশু রয়েছে। এই পরিবারগুলো সদস্যদের মধ্যে সাতজনের বাড়ি কুড়িগ্রামে ও ১০ জনের বাড়ি লালমনিরহাটে।
এদিকে, মিনাটিলা বিওপি সদস্যরা আটক করেছে চার পরিবারের ২৩ জনকে। এদের মধ্যে নয়জন পুরুষ, সাতজন নারী ও সাতজন শিশু রয়েছে। তাদের সবার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
অন্যদিকে, কোম্পানিগঞ্জের কালাইরাগ বিওপি এলাকায় দুই পরিবারের ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ, তিনজন নারী ও ছয়জন শিশু রয়েছে। এদের সবার বাড়িও একই জেলায়।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকোট বিওপি অধীনে ছনবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ১৭ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, চারজন নারী ও আটজন শিশু রয়েছে। তাদের স্থায়ী ঠিকানাও লালমনিরহাট।