বাংলাদেশের সর্বশেষ তিন টেস্টে নতুন বলে ভাগাভাগি করে বল করেছেন হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। আগের তিন টেস্টে নতুন বল কাজে লাগাতে পারলেও চলতি গল টেস্টের তৃতীয় দিন খানিকটা নিষ্প্রভই ছিলেন নাহিদ। গলের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে গতির ঝড় তুললেও ১৬ ওভারে ৮০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য। নাহিদের এমন পারফরম্যান্সে অবশ্য খুব একটা চিন্তিত নন পেস বোলিং কোচ শন টেইট।সাবেক এই অজি পেসার বলছেন, নাহিদের মতো বোলারের এমন সাদামাটা পারফরম্যান্সের পর দর্শক কিংবা মিডিয়ার চাপ আসা স্বাভাবিক। তাই বোলিংয়ের টুকিটাকির পাশাপাশি নাহিদকে চাপ সামলানোও শেখাতে চান টেইট।
গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৪৯৫ রানের জবাবে ৪ উইকেট ৩৬৮ রান করেছে শ্রীলংকা। বোলারদের জন্য হতাশার দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন টেইট। সেখানেই এক প্রশ্নের জবাবে কথা বলেছেন তুমুল গতি দিয়ে দৃশ্যপটে আসা নাহিদকে নিয়ে।
সাধারণত তৃতীয় সিমার হিসেবে নাহিদকে ব্যবহার করা হলেও গল টেস্টে নতুন বলেই বল করতে হচ্ছে তাকে। এ নিয়ে টেইট বলেন, ‘নাহিদ রানার মতো কেউ যখন এত জোরে বল করে, তখন তার হাতে নতুন বল আপনার দিতেই হবে। আমি জানি না সামনে কে নতুন বলে নিয়মিত বল করবে। যেহেতু কোচ হিসেবে এটা আমার প্রথম টেস্ট ম্যাচ। এই টেস্টে আমাদের দলে দুজন পেসার আছে, তো সেই হিসেবে রানাকে নতুন বল নিতেই হবে।‘
নাহিদের ওপর দর্শক, সমর্থকদের প্রত্যাশার উর্ধ্বমুখী পারদ কিংবা মিডিয়ার চাপ নিয়েও টেইটের আছে বাস্তবধর্মী ব্যাখা, ‘আমি জানি না ওর মতো কোনো পেসার বাংলাদেশে আগে ছিল কিনা। সম্ভবত নাহিদই বাংলাদেশের সবচেয়ে দারুণ ফাস্ট বোলার। তো তার ওপর নিশ্চিত কিছুটা হলেও চাপ থাকবে, আপনাদের থেকে, সমর্থকদের কাছ থেকে।‘
কোচ হিসেবে কেবল বোলিং নয়, নিজের দায়িত্বের পরিধি যে আরও বেশি, সেটা ভালো করেই জানেন টেইট, ‘চাপ কিংবা প্রত্যাশার ব্যাপারগুলো কীভাবে সামলাতে হবে, সেসবের জন্য বোলিং কোচ হিসেবে তো আমি আছিই। শুধু যে বোলিং নিয়েই ওর সাথে কাজ করব সেটা না। কীভাবে চাপ সামলাতে হয়, ওর মতো তরুণ সুপারস্টারকে সেটাও দেখিয়ে দেব।‘