মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির (এএ) দমন–পীড়ন দিন দিন বেড়েই চলেছে বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
সংস্থাটি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, রোহিঙ্গাদের ওপর চলাচলে বিধিনিষেধ, আটক, নির্যাতন, জবরদস্তি শ্রম এবং দলে অন্তর্ভুক্তিসহ নানা ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে আরাকান আর্মি।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে আরাকান আর্মি রাখাইনের বিস্তীর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিলেও রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, তাদের ওপর চাপ আরো বেড়েছে। বহু রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আগ্রহী।
এপ্রিল ও জুলাইয়ে নেওয়া সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণাধীন বুথিডং অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের মাছ ধরা, চাষাবাদ, এমনকি চলাফেরার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাদের খাদ্যাভাব চরমে পৌঁছেছে। অনেকে দিনমজুরি করে বা আত্মীয়দের সহায়তায় বেঁচে আছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাকান আর্মি স্কুলপড়ুয়া কিশোরদের পর্যন্ত জোর করে দলে ভেড়াচ্ছে। ছেলে আরাকান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ না করায় এক রোহিঙ্গা পিতাকে আটক করে নির্যাতন ও পরে তাদের ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
আরও অভিযোগ, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের বাড়ি, গবাদিপশু, জমি, এমনকি কবরস্থানও দখল করছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মি উভয় পক্ষই রোহিঙ্গাদের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, রাখাইনে এখনো নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ এখনো নেই, বরং সেখানে মানবিক সংকট আরও গভীর হয়েছে।