মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭, চিকিৎসাধীন ৭৮

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ছবি: আনিক রহমান/টাইমস
Highlights
  • নিহত ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জন শিশু, বাকি দুইজনের মধ্যে একজন পাইলট, অপরজন শিক্ষিকা

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৮ জন চিকিৎসাধীন আছে এবং এখন পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল আটটার পর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (চিকিৎসা) মো. সায়েদুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

দগ্ধ শিশুদের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি হাসপাতালে অপ্রয়োজনীয় ভিড় না করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, রক্তের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে, তবে কিছু নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন হতে পারে।

নিহত ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জন শিশু, বাকি দুইজনের মধ্যে একজন পাইলট, অপরজন শিক্ষিকা বলে জানান সায়েদুর রহমান।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, গতকাল সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলার বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিধ্বস্ত হয়।

বেলা ১টা ১৮ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দুর্ঘটনার খবর পায় এবং উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। পরে নিশ্চিত করা হয় যে বিমান বাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি ক্যাম্পাসের একটি দোতলা ভবনে আঘাত হানে।

রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী চিকিৎসক মো. সায়েদুর রহমান ব্রিফ করেন। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত চীনে নির্মিত এই যুদ্ধবিমানটি প্রাথমিকভাবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।

বিমানটি ভবনের ওপর পড়ে সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় এবং দগ্ধ শিক্ষার্থীদের আর্তনাদ, সন্তানের খোঁজে স্বজনদের আহাজারি ও উদ্ধারকর্মীদের তৎপরতায় এলাকা শোকস্তব্ধ হয়ে ওঠে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আহতের সংখ্যা অন্তত ১৭১ জনে পৌঁছেছে, যদিও তাদের মধ্যে অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *