বাংলাদেশকে ১৫ লাখ ডলারের জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম দিল চীন

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
চীনের দেওয়া উদ্ধার সরঞ্জাম ঘুরে দেখছেন ফারুক-ই-আজম। ছবি: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি

বন্যায় জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে অনুদান হিসেবে ১৫ লাখ মার্কিন ডলারের সরঞ্জাম দিয়েছে চীন।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এসব সরঞ্জাম হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক ই আজম।

বাংলাদেশকে দুর্যোগপ্রবণ দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ প্রতিটি দুর্যোগে সরকার মানবিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় কাজ করে। চীন সরকারের এ সহায়তা আমাদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে।’

সরকারের সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সবসময় দুর্যোগ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, রেড ক্রিসেন্টকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কিছু সামগ্রী দেওয়ার বিষয়ে এক বছর আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরে আনন্দিত বলেও জানান।

তিনি বলেন, ‘চীন সরকার বাংলাদেশের জন্য ১৫ লাখ মার্কিন ডলারের এই জরুরি সরঞ্জাম সহায়তা পাঠিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও ব্যক্তির নিরলস প্রচেষ্টায় আমরা অবশেষে সেই সহায়তা বাংলাদেশে পৌঁছে দিতে পেরেছি।’

‘বাংলাদেশে দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন সক্ষমতা বাস্তবভাবে বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং বন্যার হুমকি থেকে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে এই সহায়তা ভূমিকা রাখবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘চীন সরকারের এ অনুদান আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অত্যাধুনিক এই উদ্ধার সরঞ্জামগুলোর মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকরা আরও দক্ষতার সঙ্গে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারবে।’

বাংলাদেশের দুর্যোগে চীনের এই সহযোগিতা দুই দেশের বন্ধুত্বকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তাসনিম আজিম।

উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চীন যা দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ৫০০টি লাইফ ভেস্ট, ৫০০টি রেসকিউ হেলমেট, ৫০০ জোড়া রেসকিউ বুট, ৫০০ জোড়া হ্যান্ড গ্লোভস, ৩০০টি সামুদ্রিক ফার্স্ট এইড কিট, ২৫০টি রেসকিউ রোপ, ২৫০ সেট রেসকিউ রোপ ব্যাগ, ১০০টি ইঞ্জিনসহ রাবার বোট, ১০০ সেট লাইফ র‌্যাফ্ট, ৫০টি ফ্লোট প্লেট, ৫০টি রেসকিউ প্যানেল, ২৫টি সফট স্ট্রেচার, ১৫টি ওয়াটার পিউরিফিকেশন ইক্যুপমেন্ট, ১০ সেট ডিজেল জেনারেটর এবং ছয় সেট সমুদ্রের পানি লবণমুক্তকরণ যন্ত্র।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *