প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২২) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তিন আসামিকে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত প্রত্যেককে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেয়।
রিমান্ডে নেওয়া তিনজন হলেন—মো. আল কামাল, শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) এবং আল আমিন সানি (১৯)।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ব্যক্তিগত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের থাকতে পারে। তবে ঘটনার বিস্তারিত কারণ জানতে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার জানান, রোববার (২০ এপ্রিল) মধ্যরাতে ঢাকার মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে গ্রেপ্তার তিনজনকে ঘটনাস্থলে দেখা গেছে। তারা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
বনানী থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) একেএম মইনুদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার তিনজনের কেউই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নন। তারা বনানী বিদ্যানিকেতন বিদ্যালয়ে প্রধান তিন আসামির সহপাঠী ছিলেন। প্রধান আসামিদের ডাকে তারা সেদিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শনিবার (১৯ এপ্রিল) বান্ধবী নিয়ে ‘হাসিহাসি’র অভিযোগে ক্যাম্পাসে বহিরাগত কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে নিহত হন পারভেজ। তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকার বিরুনিয়া ইউনিয়ন। তার বাবা জসিম উদ্দিন।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতেই নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জন আসামি রয়েছেন।