ভ্যাটিকানে শনিবার (২৬ এপ্রিল) অন্তিম শয়ানের আগে পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সমবেত হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা, ইউরোপের রাজপরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় সেইন্ট পিটার’স চত্বরে শুরু হওয়া প্রার্থনাসভায় পোপের শান্ত ও বৈচিত্র্যময় নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন তারা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দেড়শর বেশি দেশের প্রতিনিধি এই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া, ব্রিটিশ রাজা চার্লস, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রয়েছেন।
এছাড়া ইতালি, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, পোল্যান্ড, গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপের বিভিন্ন রাজপরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসকে শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবারই (২৫ এপ্রিল) ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স বাসিলিকায় যান। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে প্রয়াত পোপের মরদেহ এখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রাখা হয়।
প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস মুহাম্মদ ইউনূসের কাজের দারুণ ভক্ত ছিলেন এবং তার কাজের ভূয়সী প্রশংসা করতেন।
৮৮ বছর বয়সে প্রয়াত আর্জেন্টাইন পোপের মরদেহ গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) থেকে সেইন্ট পিটার’স ব্যাসিলিকায় শায়িত ছিল, যেখানে প্রায় আড়াই লাখ ভক্ত শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
শনিবার ব্যাসিলিকার মূল দরজা দিয়ে কফিন বের করে অন্তিম প্রার্থনা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে কার্ডিনালরা ও বিদেশি অতিথিরা কফিনের দুই পাশে অবস্থান নেন।
দেড় ঘণ্টার এই প্রার্থনাসভার পর ফ্রান্সিসকে সান্তা মারিয়া ম্যাগিওরে ব্যাসিলিকায় সমাধিস্থ করা হবে। তার মৃত্যুতে শুরু হবে ৯ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক। এরপর শুরু হবে নতুন পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া।