বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান বাংলাদেশে অবস্থানকালে তার ‘বিশেষ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর আবেদন করেছে দলটি।
লন্ডনে চিকিৎসা শেষে প্রায় চার মাস পর ৫ মে সকালে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে দেশে আসছেন খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান।
তারেকপত্নী ডা. জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তা চেয়ে ৩০ এপ্রিল পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর আবেদন করেছে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়। খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে জোবাইদা রহমানের বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরবেন। ডা. জোবাইদা রহমান তার সঙ্গে দেশে আসবেন এবং ধানমন্ডিস্থ তার বাবার বাসায় অবস্থান করবেন। জিয়া পরিবারের সদস্য এবং তারেক রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে জোবাইদা রহমানের জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য তার ঢাকাস্থ বাসায় অবস্থানকালীন এবং যাতায়াতের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’
চিঠিতে গানম্যান, গাড়িসহ পুলিশ প্রটেক্টশন, বাসায় পুলিশ পাহারা এবং বাসায় আর্চওয়ে স্থাপন করতে বলা হয়েছে।
জোবাইদা রহমানের বাবা, অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন। এরশাদের সরকার আমলে তিনি যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানী জোবাইদা রহমানের চাচা। ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেওয়ার আগে ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ২০০৮ সালে তারেক রহমানে সঙ্গে তিনি লন্ডন চলে যান।
জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তা প্রশ্নে শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশের সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। তবে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আজকালের মধ্যে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
দেশে ফিরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নতুন একটি গাড়িতে চড়বেন। টয়োটা ক্রাউন ব্রাণ্ডের কালো রঙের গাড়িটি এরইমধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেসে যুক্তরাজ্যে যান।