চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য এবং প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করা হয়েছে।
দাবিগুলো হলো– প্রশাসনকে আহত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার সাথে সুচিকিৎসা দেওয়া, এক নম্বর গেটে ক্রসিং বসানো এবং দুই নম্বর গেটে সিসিটিভির আওতায় আনা, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতায় উপাচার্য এবং প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ।
সংগঠনের নেতারা জানান, প্রায় দুইদিন ধরে শিক্ষার্থীদের সাথে এলাকাবাসীর চলা সংঘর্ষের ঘটনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগের দাবি করছেন।

ছবি: মোহাম্মাদ জাহেদ/টাইমস
ছাত্রদল সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, ‘জুলাই পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের তেমন কোন আকাঙ্খা পূরণ করতে পারেনি প্রশাসন। আবাসন নিশ্চিত করতে পারেনি, নিরাপদ খাবার নেই। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে। আমরা এই ব্যর্থ প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে এখানে অবস্থান নিয়েছি। এ প্রশাসনের অব্যাহতি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই দাবি চালিয়ে যাবো।’
ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন অভিযোগ করে বলেন, ‘এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে পারছে না। কারো নামে মামলাও দিতে পারেনি।’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক মুনতাসির মাহমুদ বলেন, ‘জোবরাবাসীদের আমি বলতে চাই আপনারা যাদের সুরক্ষা দিচ্ছেন, আমরা যখন সংঘর্ষের মধ্যে ছিলাম তখন আর্মি এসেছে তিন থেকে চার ঘণ্টা পরে। এতগুলো শিক্ষার্থী যে আহত হল এই দায় তো অবশ্যই প্রশাসনের নিতে হবে। প্রশাসন আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করতে পারেনি। আমরা কয়েকজন উদ্যোগ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে পারিনি।’
‘আজকে আমরা আমাদের ভাইদের ঝরানো রক্তের বিচারের দাবিতে এখানে দাঁড়িয়েছি’ বলেও জানান তিনি।
এর আগে রোববার রাতে ও পরদিন সোমবার গ্রামবাসীর সঙ্গে চবি শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে দেড় হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীকে নগরীর বেসরকারি একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ১১৪ আহত শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১১ জন ছাত্রপত্র পেয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। ক্যাম্পাস এলাকায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।