চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ‘জাতীয় স্বার্থবিরোধী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তার প্রশ্ন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কেন এমন সব চুক্তিতে আগ্রহী? এসব তথ্য জনগণের সামনে প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন?’
শনিবার সকালে রাজধানীর বিজয়নগরে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা কেন ঝুঁকিপূর্ণ’ শিরোনামে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আনু মুহাম্মদ।
এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক-গবেষক প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, গবেষক-শিক্ষক মাহা মীর্জা ও চট্টগ্রাম বন্দরের সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লা বাহার।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ প্রশ্ন রেখে আরো বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের আগ্রহ আমরা বুঝতাম। কিন্তু এখন মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের একই আগ্রহ কেন?’
তিনি অভিযোগ করেন, জনগণকে অন্ধকারে রেখে গোপনে চুক্তি করার মধ্য দিয়ে দুর্নীতি ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। তার মতে, এসব চুক্তি যদি জনকল্যাণমূলক হয়, তবে তা গোপন না রেখে জনগণের সামনে উপস্থাপন করাই সরকারের দায়িত্ব।
আলোচনায় অধ্যাপক আনু বলেন, ‘বিদেশি কোম্পানির কাছে বন্দরের মতো কৌশলগত অবকাঠামো হস্তান্তর করা হলে তা দেশের “নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের” জন্য হুমকি হতে পারে।’
তিনি অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ বলেও উল্লেখ করেন।
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকার এখন বলছে, বিদেশি চুক্তিতে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। এই মনোভাবই গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতার জন্য হুমকি।’ তিনি জনগণের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।