গোপালগঞ্জে কারফিউ চলবে, শুক্রবার শিথিল ৩ ঘণ্টা

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
গোপালগঞ্জে যৌথ বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা। ছবি: অনিক রহমান/টাইমস
Highlights
  • এর আগে, শুক্রবার গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত এবং ১২ জনের বেশি আহত হন। আওয়ামী লীগ ও যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষে পুরো শহর পরিনত রণক্ষেত্রে।

গোপালগঞ্জে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি  থাকবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আদেশে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পুরো গোপালগঞ্জ জেলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কারফিউ চলমান থাকবে।

এছাড়া শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত—তিন ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে বলেও আদেশে জানানো হয়েছে।

এনসিপির সভাস্থলে জয় বাংলা
গোপালগঞ্জে এনসিপির সভাস্থলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে ভাঙচুর চালায় ও অগ্নি সংযোগ করে আওয়ামী লীগ কর্মীরা।ছবি: অনিক রহমান/টাইমস

এরপর এ দিন দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আবার কারফিউ চলবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়।

এর আগে, শুক্রবার গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত এবং ১২ জনের বেশি আহত হন। আওয়ামী লীগ ও যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষে পুরো শহর পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।

সদর পৌর পার্কে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘শান্তিপূর্ণ’ জুলাই পদযাত্রার সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা হামলা চালালে ওই সহিংসতার সূত্রপাত হয়।

গোপালগঞ্জ শহর জুড়ে এখনো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে তাণ্ডবের চিহ্ন। ছবি: অনিক রহমান/টাইমস

সাম্প্রতিক সময়ে এমন সহিংসতা গোপালগঞ্জে আর দেখা যায়নি। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে শহরের চৌরঙ্গী মোড়, পৌর পার্কসহ বিভিন্ন এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করে।

পরে সহিংসতা ঠেকাতে ঘোষণা করা হয়  রাত ৮টা থেকে ২২ ঘণ্টার কারফিউ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও অতিরিক্ত পুলিশ। ২২ ঘণ্টার ওই কারফিউ বৃহস্পতিবার শেষ হওয়ার কথা ছিল।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *