ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গতবছর সাভারে আসহাবুল ইয়ামিন নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের আর্মড পারসোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্যের নাম মোহাম্মদ আলী (৩১), তিনি সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্তরত ছিলেন।
রোববার সকাল ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার মুরাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে বিকেলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির।
মোহাম্মদ আলীর বাড়ি তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার কালাইহাতি গ্রামে। আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির বলেন, ‘ইয়ামিন হত্যা মামলায় মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। আজ তাকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
নিহত ইয়ামিন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
২০২৪ সালের ১৮ জুলাই দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে পুলিশের এপিসির থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। তাকে রাস্তায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এপিসি থেকে তার মরদেহ ফেলে দেওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ হলে তা দ্রুত ছড়িয়ে যায়।